সোনালী মিত্র

প্রতিবাদ এবং সতীপীঠ 

সোনালী মিত্র



অভূতপূর্ব সে এক খিদে, হাতিয়ার নখদাঁতের উন্মাদ মাহাত্ম্য 

ক্ষুধার্ত দৃষ্টিভ্রম, আদিম শিকারের 

সে এক অনতিক্রম্য নেশা, 

যাকে মানুষ করেনি,  স্রষ্টা তাকেও দিয়েছেন  লিঙ্গ 

দিয়েছেন ঈশ্বরী খুনের আগ্রাসী প্রতিভা।


এখানে কে কাকে পোড়ায়!বড় কথা নয়

এখানে বিচার্য নয়, কে কার কাঁচামাংসয় জেগে ওঠে ভুখাশ্রম!

পবিত্র গঙ্গায় মেঘসন্ধ্যায় কোন  মেয়ে ব্রিজ থেকে  ঝাঁপিয়ে 

গোধূলিলগ্নের বিবাহসভা পেরিয়ে মিলিয়ে যায় 

স্বপ্নের উপত্যকায় 

কামদুনির মেয়ে পুলিশ ফাইলে আটকে থাকে নির্বিবাদ বছর

অভয়ারা পিতৃঅরণ্যে বটতলার 'চটি' হয়ে যায়।



মেয়েদের দু'পায়ের ফাঁকে নারীত্ব, আঁচলের নীচে জাগতিক সনাতন! 

এসব নয় যেন বুভুক্ষু দেবতার এক আড়ং, যেন পাগলা ঘন্টি,

যেন মধুমাস,বৈষ্ণবীর আখড়া 

আর স্বয়ম্ভূর গঞ্জিকাক্ষেত 

অপূরণীয় সেই নেশার ক্ষেতে মা ও মেয়ে,বউ ও বোন

অন্ধকার হলে উপাদেয় নৈবেদ্য 


তেত্রিশ কোটি দেবতার উপরে মহাদেবীও 

এক একটা রাতে,এক একটা অন্ধকারে 

জননীপ্রতিভায় নয়,স্ত্রীজাতীয় নয়,নয় কোনও মানবিক মুখ নয়

পুরুষের লিঙ্গচক্রে সতীর মতোই নারীও 

পুরুষক্ষিদের একান্নপীঠে বিলীন হয়ে যায় ...


পাঠকের মতামতঃ